ভারী বর্ষন ও জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ভারী বর্ষন ও জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
আব্দুল আলীম খান পটুয়াখালী  প্রতিনিধিঃসমুদ্রে সৃষ্ট লঘু চাপে টানা বর্ষন সাথে আমবস্যার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার
নিম্নাঞ্চল। বৈরী আবহাওয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও সড়ক ডুবে মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তিত। সাগর বেষ্টিত এ উপজেলা থেকে নৌ-পথে জেলা শহরে যাতায়াতের প্রধান ও একমাত্র মাধ্যম স্পীড বোড এবং ফিটনেস বিহীন অনুন্নত ছোট ছোট লঞ্চ /ট্রলার। যাতায়াতের একটি মাত্র পথ তাও পানিতে ডুবে আছে। সরেজমিন ঘুরে  দেখা যায়, গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাত ও অমাবস্যার কারণে জোয়ারের পানি আগুনমুখা'য় স্বাভাবিকের তুলনায় ২.৫-৩ মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে উপকূলীয় অঞ্চল চর-ইমারশন,চর-নজির চর-আন্ডা প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় চর-ইমারশন গ্রামের রফিক প্যাদা বলেন, ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে আগুনমুখা নদী সংলগ্ন চর গুলো তলীয়ে(ডুবে)গেছে।বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ী বাঁধের বাহিরে বসবাসরত মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। তিনি আরো জানান, এখানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ীবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় বৃদ্ধি পেলে আমরা ডুবে যাই। এ সংকট যেন চিরস্থায়ী। তাছাড়া এখানে সাইক্লোন শেল্টার নেই। সল্প পরিসরে বেড়ীবাঁধ থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে মৎস্য ঘেরে পানি উঠা নামার সুবিধার্থে কালভার্ট নির্মাণ করে ব্যবহার করছে। বন্যার আশংকা হলে আমাদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে বেচেঁ থাকতে হয় বলেও তারা জানান। সার্বিক বিষয়ে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, টানা বর্ষণ ও আমবস্যায়
স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে কোনো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেনি।স্থানীয়রা প্রধানমন্ত্রী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো)কাছে  আসু সমাধান ওপ্রতিকার চায়।